মো. হৃদয় খান: নরসিংদীর মনোহরদীতে এবার সাবেক ইউপি মেম্বারের বাড়িসহ একসাথে ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের দীঘাকান্দী ও দশদোনা গ্রামে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীসহ ৪ জন আহত হয়।

আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মনোহরদী থানা পুলিশ।

পুলিশ ও আহতের স্বজনেরা জানায়, দিঘাকান্দী গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদুজ্জামান আনসারী বাবলুর বাড়িতে রাত আনুমানিক ১টার দিকে ৮-১০ জনের একদল ডাকাত ঘরের দরোজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। পরে পরিবারের সকল সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২টি হাতের বালা, ১টি গলার চেইন ও একটি মোবাইল ফোন লুটে নেয়। পরে ডাকাতরা যাওয়ার সময় গৃহকর্তার ছেলে শেখ ফারদিন আনসারী ধ্রুবকে ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ে এবং মাথায় আঘাত করে। অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত ধ্রুবকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

এরপরই ডাকাতরা প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী মেম্বারের বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে মেম্বার এবং তার স্ত্রী ডাকাতদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতরা ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বার এবং তার স্ত্রীকে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পরে ওইদিন রাত ৩টার দিকে একই ইউনিয়নের দশদোনা গ্রামের আবু বকরের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাত দল। ডাকাতরা একই কায়দায় ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ২টি স্বর্ণের চেইন, ৩টি আংটি, ২টি কানের দোল, ৪টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ত্রিশ হাজার টাকা লুটে নেয়। ডাকাতরা যাওয়ার সময় আবু বকরের স্ত্রী হামিদা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাকেও মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মনোহরদী থানার ওসি মো: মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ডাকাতি হওয়া বাড়ির পাশ থেকে ২ টি ককটেল, কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published.