নরসিংদীতে কলেজ  ছাত্র তানভিরকে ছুড়িকাঘাত করে হত্যা  করার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শুক্রবার রাতে শহরের বীরপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে ছিনতাইয়ের সময় চিনে ফেলার কারণে হত্যা করেছে বলে তারা স্বীকার করেছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাত্তার মিয়ার ছেলে সাগর (২৫), ডলি মিয়ার ছেলে সাথি (২৪), আলামিন(২৫), সিয়াম (২৪) ও হুদয় (২৪)। গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই শহরের বীরপুর এলাকার বাসিন্দা।পুলিশ সূএে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ী থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় বাড়ীর অদূরে তানভিরকে হত্যা করা হয়। নিহত কলেজ ছাত্র তানভির আহাম্মেদ বই-পত্র আনার জন্য সকাল ৬টার দিকে ট্রেন যোগে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। সন্তানের খোজ নেয়ার জন্য সকাল ১০টায় তার মা তাকে ফোন দেয়। কিন্তু কোন সারা শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়রা বীরপুর স্কুলের পশে একটি দোকানের পেছনে বুকে ছুরিবিদ্ধ একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়রা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ও নিহতের বাড়ীতে খবর দেয়। পরে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন।।

এ ঘটনায় নিহতের পিতা নাসির উদ্দিন খান অজ্ঞাত আসামী করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।

পুলিশ প্রথমে শহরের বীরপুর থেকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আলামিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। জিঞ্জাসাবাদে আলামিন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিওিতে হত্যাকান্ডে জড়িত বাকি ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানায়, তাদের ছিনতাই করার উদ্দেশ্য ছিলো। কিন্তু ছিনতাইয়ের সময় নিহত তানভির তাদের সবাইকে চিনে ফেলে। যার কারণে সাথি তানভিরকে মেরে ফেলার কথা বলে। আর সাগর তানভিরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। গেপ্তারকৃতরা সকলেই নিহত তানভিরের জানাজা ও লাশ দাফনের কাজে অংশগ্রহন করে। যাতে তাদেরকে কেউ সন্দেহ না করতে পারে।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বলেন, প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে তারা আমাদের কাছে  হত্যার কথা স্বীকার করেছে। মূলত চিনে ফেলার কারণেই তানভিরকে হত্যা করা হযেছে। আসামিরা সবাই ভৈরব রেলওয়ে থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদের আদালতে তুলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *