লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে দেলোয়ার হোসেন নামে এক চিকিৎসারত যুবকের ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে ৪ পুলিশ ও এক সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল, পুলিশ ও যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আঠিয়াতলী গ্রামের যুবক দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করে। উক্ত মামলায় গতকাল মঙ্গলবার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরেন। বুধবার সকালে সে একটি ছুরি নিয়ে আবারও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানকে আক্রমণ করেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আহত দু’জনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে শহরের যুবলীগ নেতাকর্মীরা হাসপাতালে যান। এ সময় দেলোয়ারের ওপর হামলার চেষ্টা করেন তারা।
পুলিশ তাদের বাধা দিলে এক পর্যায়ে পুলিশের ওপর হামলা করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা এস আই আবদুল আলীম, এ এস আই গিয়াস উদ্দিন, পুলিশ সদস্য নয়ন, মেহেদী, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমন, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমানসহ ১০ জন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা (পশ্চিম) যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুর রহমান, সদর পূর্ব যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রুপম হাওলাদার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ইকবাল হোসেন হিমেল ক্বারী, যুবলীগ নেতা আজগর হোসেন, মিজানুর রহমান ও মোহাম্মদ উল্যাহসহ ১০ জনকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ১০টি মটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায় পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজনের ওপর হামলার চেষ্টা করে একটি গ্রুপ। এ সময় বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে কয়েকজনকে আটক করে। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ জন আহত হয়।