নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে চালকরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পযন্ত দুই ঘন্টা মহাসড়কের ইটাখোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাঁরা অবরোধ করে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা। পরে পুলিশ এসে চালক-শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।পুলিশ ও বিক্ষোভকারীরা জানায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মহাসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা করা হয়। কিন্তু নিষেধ উপেক্ষা করে চালকরা মহাসড়কে ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মহাসড়কে অভিযান চালায় হাইওয়ে পুলিশ। ওই সময় ২০ থেকে ২৫টি অটো রিক্সা আটক করা হয়। এতে চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে চালক ও শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।রিক্সা চালক আলম মিয়া বলেন, ঋণের টাকা দিয়ে আমরা রিক্সা কিনি। যে দূরত্বে বাস যাত্রী নেয়না, সেই দূরত্বের যাত্রীরা রিক্সা দিয়ে যায়। কিন্তু হাইওয়েতে পুলিশ আমাদের রিক্সা আটকিয়ে নিয়ে যায়, অনেক সময় নদীতে ফেলে দেয়। সেই রিক্সা আনতে এক হাজার টাকা নেয়। এভাবে চলতে থাকলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে আমাদের মরতে হবে। এই অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।হাইওয়ে পুলিশের ইটাখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে মহাসড়কে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ। এরই প্রেক্ষিতে রিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযানে ক্ষিপ্ত হয়ে রিক্সা চালকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *