মো. হৃদয় খান: নরসিংদীর আরশীনগর, জেলখানা মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে চলছে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি। এমনকি দিনের বেলা প্রকাশ্যে মাধবদী, শেখেরচর, পাঁচদোনা, ভেলানগর, আরশিনগরসহ নরসিংদী পৌরসভার বাসষ্ট্যান্ড এলাকাগুলোতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন গাড়ি থেকে অবৈধভাবে চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে। দিনের চেয়ে সন্ধ্যায় নরসিংদীর বিভিন্ন রাস্তায় চলে ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাজি।
নরসিংদীর প্রবেশপথগুলো যেন ট্রাফিক পুলিশের অবৈধ টাকার কারখানা। পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে চলছে ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলো। এ জন্য যানজট নিরসনের পরিবর্তে প্রতিদিন তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
তারা বলছেন, ট্রাফিক পুলিশ জোরপূর্বক যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার নামে চাঁদা আদায় করে। নরসিংদীর বিভিন্ন রাস্তায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, অটোরিকশা এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন নানা ব্র্যান্ডের গাড়ি কারণে-অকারণে থামিয়ে কাগজপত্র দেখার অজুহাতে হয়রানি করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটক রাখার ফলে নরসিংদীর মহাসড়কসহ ডিসি রোড়ে যানজট আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাড়ির কাগজপত্র চেক করা নয়, সাধারণ মানুষকে হয়রানি আর টাকা আদায়ই তাদের মূল টার্গেট বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
রাস্তায় লক্কড়-ঝক্কড় মার্কা ফিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী বাস চলাচল করলেও সেদিকে তাদের নজর নেই। ফিটনেসবিহীন যাত্রীবাহী বাস আটক করা হচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে এসব ফিটনেসবিহীন বাসের চালক ও মালিকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা মাসোহারা নিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
টার্মিনাল ও সড়কসমূহে চাঁদাবাজিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও নরসিংদীর সড়কসমূহে দেখা যায় ভিন্ন অবস্থা।
কতিপয় সার্জেন্ট, ট্রাফিক ও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সচেতন মহল অভিযোগ করেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও সেরকম করা হচ্ছে না।
এখানে কমেন্ট করুন: