মো: শফিকুল ইসলাম মতি নরসিংদী :
নরসিংদীতে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. মেহেদী হাসানকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণ করা হয়েছে। গত ১৭ এপ্রিল নরসিংদী পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাঁকে অপসারণ করা হয়।
গত বছরের বিভিন্ন মিডিয়ায় ‘নরসিংদী শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ২৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন কনস্টেবল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৫ জুলাই নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি বিভাগীয় মামলা হয়। এর ভিত্তিতে নরসিংদী সহকারী পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মেসবাহ উদ্দিন দীর্ঘ তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার কার্যালয় ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকার মো. তৌফিক মিয়া তাঁর মেয়েজামাই মামুনকে রেলওয়ে পুলিশে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে কনস্টেবল মেহেদী হাসানের সঙ্গে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লেনদেনের মৌখিক চুক্তি করেন। কিন্তু চাকরি না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন মেহেদী। টাকা ফেরত চাওয়ায় তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে তৌফিক মিয়াকে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময়ে টাকা আদায়ের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন তৌফিক মিয়া। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কনস্টেবল মেহেদী তৌফিকের স্ত্রী রোজিনা বেগমের বিরুদ্ধে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি চেক ডিজ-অনারের মামলা দায়ের করেন।