নরসিংদীর পলাশে পুলিশের কাছে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিপাকে পড়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। থানায় সাধারণ ডায়েরী করার কথা বললে আওয়ামী লীগ নেতাকে উল্টো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন। অভিযোগ করেছেন ডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কালিগঞ্জ কলেজের সাবেক জিএস আজাহার খন্দকার।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন থানার ওসি। জানা যায়, শুক্রবার নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আজাহার খন্দকারের বাড়ির পেছনে টয়লেটের চাক মেরামত করছিল তার ভাতিজা। ওই সময় মাটির নিচে একটি বক্স দেখতে পায়। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে আজাহারকে খবর দেওয়া হয়। পরে তিনি ডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়।
পরে পুলিশ এসে মাটি খুড়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় নয়টি ককটেল উদ্ধার করে। ডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার খন্দকার বলেন, ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছিলাম। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণে প্রতিপক্ষও রয়েছে। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করার কথা জানাই ওসি সাহেবকে। এতে তিনি চটে যান। একপর্যায়ে তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা দেবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। পরে আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃৃবৃন্দের নিকট বিষয়টি জানাই।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকবুল হোসেন বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় নিস্ক্রিয় কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি আমার থানায় জিডি করে রেখেছি। এখন আজাহার সাহেব যদি কাউকে সন্দেহ করে তাহলে মামলা দিতে বলেছি। তিনি মামলা দিবেন না। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এখন ওনার বাড়ির পেছন থেকে পাওয়া গেছে। মামলা নিলে তো ওনার বিরুদ্ধেই নিতে হয়।