অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে তলব করা নরসিংদী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন না। তিনি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ছিলেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নেন।রোববার ২৬ মে বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আজ তাকে চিঠি পাঠিয়ে তলব করেছেন।

আগামী ১০ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিরাজুল ইসলামকে কমিশনে হাজির হতে বলা হয়েছে।এ সম্পর্কিত সংবাদে টেলিভিশন মিডিয়াসহ বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদপত্রে তাকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা কখনো আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন না। মিডিয়াগুলো তাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। কারো ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় আওয়ামী লীগের নন। আর তিনি তো আওয়ামী লীগের কেউ নন।

প্রসঙ্গত: সিরাজুল ইসলাম মোল্লা আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হওয়ায় দশম জাতীয় সংসদে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

এ ব্যাপারে নরসিংদী-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল হক ভুঞা মোহন বলেন, সে কখনো আওয়ামী লীগের কোনো স্তরের কোনো সদস্য ছিলেন না। এমনকি প্রাথমিক সদস্য পদও তার নেই। কোনো কাউন্সিলেও কখনো সদস্য ছিলেন না।

এলাকায় বিএনপির সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভুইয়ার সমর্থিত লোক হিসেবে পরিচিত ছিল। মান্নান ভুইয়ার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ডোনার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৪ সালে দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে মান্নান ভুইয়া ও জামাত-বিএনপির ভোট ও কালো টাকার প্রভাব বিস্তার করেই তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় স্বর্ণ চোরাচালানি ও জাল টাকার মামলার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

এখানে কমেন্ট করুন: