নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বদেশ বাসে চলন্ত অবস্থায় এক কিশোরী ধর্ষণরত অবস্থায় স্বদেশ সার্ভিস নামের একটি বাসের চালককে আটক করে জনতা। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে খবর দিলে চালক শামীম মিয়া ও বাসটি জব্দ করে সোনারগাঁ থানা হেফাজতে রাখা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউটাউনের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে রাত সাড়ে ১০টায় বাড়ির উদ্দেশে গাড়ির জন্যে অপেক্ষা করছিল, এমন সময় ঢাকা টু মেঘনায় চলাচলরত একটি স্বদেশ গাড়ি দেখে থামাতে বললে গাড়িটি আরো দ্রুতবেগে ছুটে যেতেই বাস থেকে এক কিশোরীর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পেয়ে সাবই দৌড়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ায়।

গাড়ি থামলে স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা গাড়িতে উঠে দেখতে পায় হেলপার গাড়ি চালাচ্ছে আর গাড়ির চালক এক কিশোরী যাত্রীকে ধর্ষণ করছে। পরে তাকে আটক করে সোনারগাঁ থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে এস আই তাওহীদ গাড়ির চালক এবং স্বদেশ বাস (ঢাকা মেট্টো-ব-১১-৭২৬৫) গাড়িটি আটক করে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে আসে।

নউটাউনের ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন জানান, মেয়ে কণ্ঠে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের সামনে মানব দেয়াল তৈরি করি। বাসে উঠে ধর্ষণ চেষ্টারত অবস্থায় চালককে আটক করি এ ফাঁকে সুযোগ বুঝে হেলপার পালিয়ে যায়। আমরা আনন্দিত যে অন্তত একটি ধর্ষণ রুখতে পেরেছি। এমনও হতে পারতো ধর্ষণ শেষে মেয়েটিকে হত্যা করে ফেলে যেত। ঐক্যবদ্ধ জনতা চিৎকার করে বলেন, আমরা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এস আই তাওহিদ উল্লাহ জানান, স্বদেশ বাসে ধর্ষণের খবর পেয়ে মেঘনা নিউটাউনে গিয়ে জনতার হাত থেকে ধর্ষক ও গাড়ি আটক করি। তিনি জানান, ধর্ষক শামীম মিয়া নানাখি মধ্যপাড়া গ্রামের আ. রব ভূইয়ার ছেলে। কিশোরির বাড়ি কিশোরগঞ্জ। সে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বালুকান্দি ইউনিয়নের মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণে অভিযোগে ধর্ষক চালক ও বাসটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। চালকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এখানে কমেন্ট করুন: