জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আলতাফ আলী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েও নিজের গাড়ি থেকে ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকারটি খোলেননি। এখনও ওই স্টিকার লাগানো গাড়িতেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। তবে এবার ওই স্টিকারের কারণেই বিপাকে পড়তে হয়েছে তাকে। স্টিকার দেখে গাড়িটি আটকে দেন একজন পাওনাদার। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে উদ্ধার হন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাবেক সাংসদ আলতাফ আলী উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে গাড়িটি রেখে রেজিস্ট্রি অফিসে যান। ওই সময় কিছু লোক লোক তার গাড়িটি ঘিরে ধরে। আলতাফ আলী গাড়িতে ওঠার পর পেস্তা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি গাড়ির সামনে দাঁড়ান। ঘটনার সময় সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর পুলিশ গিয়ে সাবেক সাংসদকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
পেস্তা মণ্ডল জানান, তার বাড়ি উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জামিরবাড়িয়া গ্রামে। সাবেক সাংসদ আলতাফ আলীও একই এলাকার বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, সাংসদ থাকাকালে তার ছেলেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরি পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা নেন আলতাফ আলী। জমি বিক্রি করে ওই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও তার ছেলেকে চাকরি দেননি আলতাফ। এমনকি ওই টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না তিনি। বিষয়টি নিয়ে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন না। পেস্তা মণ্ডল বলেন, ‘জাতীয় সংসদ লেখা স্টিকার লাগানো দেখে বুঝতে পারি এটা এমপি আলতাফের গাড়ি। টাকা ফেরত নেওয়ার জন্যই তাকে আটকে রাখি।’
গাবতলী মডেল থানার ওসি সেলিম হোসেন বলেন, সাবেক এমপি আলতাফ আলীকে গাড়িসহ আটকে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। তাকে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তিনি গাড়ি নিয়ে বগুড়া শহরের দিকে চলে যান।