আবাসিকসহ সকল পর্যায়ে গ্যাসের দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আবাসিক খাতে এক চুলার খরচ ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯২৫ টাকা ও দুই চুলার খরচ ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা, সিএনজি প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

১ জুলাই থেকে গ্যাসের এ নতুন দাম কার্যকর হবে বলে বিইআরসি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রতি ঘনমিটার ৯.৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে।

বিদ্যুৎ খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৪.৪৫ টাকা, সিএনজি প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাপটিভ পাওয়ারে প্রতি ঘনমিটার ১৩.৮৫ টাকা, সার উৎপাদনে প্রতি ঘনমিটার ৪.৪৫ টাকা, শিল্প খাতে প্রতি ঘনমিটার ১০.৭০ টাকা, চা বাগানে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার ১০.৭০ টাকা, বাণিজ্যিক খাতের মধ্যে হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে প্রতি ঘনমিটার ২৩ টাকা আর ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পে প্রতি ঘনমিটার ১৭.০৪ টাকা, বাসা-বাড়িতে মিটারভিত্তিক ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ১২. ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগের গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেই গণশুনানির সিদ্ধান্তই জানানো হলো।

এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে গ্যাসের দাম সমন্বয়ের জন্য প্রস্তাব করেছিল পেট্রোবাংলা ও গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানিগুলো।

এসব সংস্থা গ্যাসের দাম গড়ে ১০২ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল। আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার পর গ্যাসের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই বছরের মার্চ ও জুলাই মাসে দুই দফায় এই নতুন মূল্য কার্যকর করার কথা ছিল। মার্চ মাসের নতুন মূল্য কার্যকর হলেও হাইকোর্টের আদেশে জুলাই মাসের মূল্যবৃদ্ধি স্থগিত হয়ে যায়।

এখানে কমেন্ট করুন: