গতকাল রবিবার সকালে মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে মিলন খানের নির্মানাধীণ ভবনের সামনে থেকে ঐ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল গ্রামের আলম শেখের নির্জন বাড়ী থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
অপহৃত মিলন খান একই উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের চুলা গ্রামের করম আলীর ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হাতিরদিয়ার কোচেরচর এলাকার মৃত: জয়নুদ্দিন এর ছেলে আলম শেখ (৪৫), মনোহরদীর সল্লাবাইদ এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে আরিফ (২৫), বিরিক এর ছেলে টিপু, (২০) সুলতানের ছেলে সাইফুল (২৭) ও রফির ছেলে কাদির (২৫)।
মনোহরদী থানা পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী মিলন খান এর সাথে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল গ্রামের আজম সরকারের সাথে জমি ক্রয় বিক্রয়ের লেনদেন নিয়ে দন্ধ চলছিল। এরই মধ্যে আজম সরকার উক্ত জায়গায় দ্বিতীয় তলার ছাদের কাজ শেষ করে তৃতীয় তলার কাজ করছিল। কিন্তু লেনদেন শেষ হয়নি। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে মত বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে আজম সরকারের লোকজন একটি মাইক্রোবাস যোগে এসে মিলন মিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মনোহরদী থানায় অভিযোগ করেন অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবার। এর জের ধরে পুলিশ কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল গ্রামে থেকে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে । এ ঘটনায় মিলন খান ১০ জনকে আসামী করে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহরনকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অপহৃত ব্যবসায়ী মিলন খান বলেন, রবিবার সকালে আমাকে জাননো হয় জমির পাওনা টাকা পরিশোধ করে হবে। তাদের কথা অনুযায়ী সকাল নয়টায় মনোহরদী বাসষ্ট্যান্ডে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসী আরিফ আল কফি, আশিক আল কফি,বাপ্পি ও আলম শেখ, আজম সরকারসহ জোড়পূর্বক আমাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে পাঁচটি খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
মনোহরদী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহনের ৫ ঘন্টার মধ্যে অপহৃত মিলন খান উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে শোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।