এবার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে লম্পট বন্ধুদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রীকে ঘুরতে নিয়ে পরিচয়ের নাম করে তাদের দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই শিক্ষককে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা। ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘুরতে যাওয়ার নাম করে লম্পট শিক্ষক তার মেয়েকে বন্ধুদের হাতে তুলে দিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ধর্ষণে সহায়তাকারী শিক্ষক সায়েমকে বৃহস্পতিবার সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। সায়েম কালিয়াকৈরের পুর্বমৌচাক এলাকার মোবারক হোসেনের ছেলে। মৌচাক ফাড়ির এসআই রনি কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ওই ছাত্রী তার গৃহ শিক্ষক সায়েমের সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে মৌচাক এলাকায় ঘুরতে বের হয়। বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করে মৌচাক এলাকায় কয়েকজন বন্ধুর সাথে সায়েম ওই ছাত্রীকে পরিচয় করে দেন শিক্ষক সায়েম। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে আবার মোটরসাইকেল করে সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকার একটি দোকানের সামনে ওই ছাত্রীকে নামিয়ে দেন সায়েম। পরে সায়েমের দুই বন্ধু এসে ওই ছাত্রীকে জানায়, তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো অভিযোগে সায়েমকে বেঁধে রাখা হয়েছে। সেখানে ওই ছাত্রী না গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে। পরে কৌশলে ওই ছাত্রীকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রাতে ওই ছাত্রীকে একটি অটোরিকশায় করে তার বাসায় পৌঁছে দেয় লম্পটরা। বাসায় ফিরে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার মা ও ভাইকে খুলে বলে। এদিকে সুযোগ সন্ধানী ওই শিক্ষক ছাত্রীর বাসায় গিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় জনতা। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।