নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার (তহশিলদার) বিরুদ্ধে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ষাটোর্ধ্ব এক বিধবা ভিক্ষুকের ভিটেবাড়ি স্ত্রীর নামে লিখে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের গোখলা কলিকান্দা গ্রামে। তহশিলদারের বিচার দাবি করে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী মিনারা বেগম দুখী। মিনারা বেগম দুখী গোখলা কলিকান্দা গ্রামের আব্দুল আউয়ালের স্ত্রী। আর অভিযুক্ত তহশিলদার একই গ্রামের টুকুব আলী মুনশীর ছেলে তাজুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে একই জেলার রায়পুরা উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত।

ভুক্তভোগী মিনারা জানান, তাঁর বাবা গয়েছ আলী প্রায় ২৫ বছর আগে তাঁর নামে ৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। ১৫ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি এক ছেলে, দুই মেয়ে নিয়ে পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। বাবার লিখে দেওয়া জমির দলিলটি নিরাপদে রাখার জন্য প্রতিবেশী আকলিমার কাছে রেখেছিলেন তিনি। চার বছর আগে মিনারা জানতে পারেন তাঁর দলিলটি হারিয়ে গেছে। মিনারার অভিযোগ, তিনি দলিলের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকলে প্রতিবেশী তহশিলদার তাজুল ইসলাম তাঁর দলিলের নকল তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ জন্য ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারলে তহশিলদার তাঁকে কিছু জমি লিখে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশের ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি স্ত্রী নাছিমা বেগমের নামে লিখে নেন তহশিলদার তাজুল। তিন মাস আগে ভিটার বাকি আড়াই শতাংশ জমিও স্ত্রীর নামে লিখে দিতে ভয়ভীতি দেখান তাজুল। তহশিলদার তাজুল ইসলাম বলেন,ফাঁদে ফেলে নয়, মিনারা বেগমের অনুরোধে বর্তমান বাজার অনুযায়ী মূল্য দিয়ে ওই জমি আমার স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করেছি। মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু বলেন, একজন ভিক্ষুকের লিখিত অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। ব্যস্ততার কারণে এখনো তা দেখতে পারিনি। অভিযোগের তদন্তকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এখানে কমেন্ট করুন: