চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেনের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা থানায় মামলা করার পর সোহেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহরাস্তি উপজেলার টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের কুলশী গ্রামের ওই কলেজছাত্রী এবার এইচএসসি পাস করে। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশীদ গ্রামের আহসান উল্লার ছেলে সোহেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সোহেল। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লেও সোহেল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে মামলা করেন ভিকটিমের বাবা।

বাংলা ট্রিবিউনকে ভিকটিমের বাবা বলেন, ‘আমি গরীব অসহায়। স্থানীয় বাজারে  নাইট গার্ডের চাকরি করে মেয়ের লেখাপড়া চালাই। ছাত্রলীগ নেতা সোহেল আমার মেয়েকে যা করেছে তা তার মাকে জানায়। আমি এসব শোনার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাই। দলীয় প্রভাব আর অর্থের শক্তির কাছে আমি হেরে যাই। অসহায় ও নিরুপায় হয়ে থানায় মামলা করি। মামলা করার পর আমাদের বাড়ি এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের এমন ক্ষতির সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।’

ভিকটিম জানান, গর্ভধারণের কথা সোহেলকে জানালে সে ভ্রুণ নষ্ট করতে জোর করে ওষুধ খাইয়ে দেয়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সেই সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। শাহরাস্তি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে সোহেল ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে তার বন্ধু জাকারিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর রাতেই আমরা সোহেলকে গ্রেফতার করি। বুধবার তাকে চাঁদপুর আদালতে হাজির করা হয়েছে। এছাড়া অপর আসামি পলাতক রয়েছে।’

এখানে কমেন্ট করুন: