মো: শফিকুল ইসলাম,নরসিংদী:
নরসিংদীর শিবপুরে পুটিয়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ খান কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে দেয়া কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে দলের একাংশের নেতাকর্মীরা। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে শিবপুর উপজেলা সদর রোডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে শিবপুর বাসস্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান। এতে সাবেক সাংসদ ও বিগত সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে বিশেষ অতিথি করা হলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
এসময় বিগত নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করা নেতাকর্মীদের দলীয় পদ দেয়াসহ তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন।এসব অভিযোগের জবাবে মাইক হাতে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাৎক্ষনিক সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে সম্মেলনে রাখা এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সমাবেশে এ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বিতর্কিত হারুন অর রশিদ খানকে দল থেকে বহিষ্কার করাসহ তার শাস্তি দাবি করেন।
অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা। শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান খান ভুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই মাষ্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আলম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ পারভেজ, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জুনায়েদুল হক ভূঁইয়া জুনুসহ অন্যান্যরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান বলেন, সাবেক সাংসদ (দলের বিদ্রোহী প্রার্থী) সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে সম্মেলনে দাওয়াত দেয়ায় বর্তমান সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন ক্ষুব্ধ হয়ে মিলন হত্যার প্রসঙ্গ তুলে বক্তব্য দেন। পরে আমি বক্তব্য দেয়ার সময় বিষয়টি যে দলের কেন্দ্র-সংশিষ্ট ব্যাপার তা বুঝাতে গিয়ে ওই উচ্চারণটা করে ফেলেছি সত্য। কিন্তু আমার ওই বক্তব্যে আমাদের নেতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বা তার মনে আঘাত লাগার মত কথা আমি বলিনি।