মো. শফিকুল ইসলাম,নরসিংদী :
নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর মেয়র লোকমান হত্যা মামলার দায় থেকে ১১ আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর ৮ মাস জুডিশিয়াল তদন্ত শেষে চীফ জুডিশিয়াল কোর্ট থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়। শুক্রবার বিকালে নরসিংদী প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া বাংলাদেশ তাঁতীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোন্তাজ উদ্দিন ভূঞা। হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন- নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, বাংলাদেশ তাঁতীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোন্তাজ উদ্দিন ভূঞা, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মিয়া মো. মনজুর আহমেদ, রহমান প্রেসের মালিক মনোয়ার হোসেন খান মইন, সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ এর এপিএস মাসুদুর রহমান মুরাদ, ব্যবসায়ী হিরণ মিয়া, আমু মিয়া, মামুন মিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা কবির সরকার, বিএনপি’র সাবেক নেতা তারেক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ তাঁতীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোন্তাজ উদ্দিন ভূঞা বলেন, ২০১১ সালের ১ নভেম্বর নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সভা চলাকালে সন্ধ্যায় নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে যায়। লোকমান হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৪ জনকে আসামি করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার ছোট ভাই বর্তমান মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে উল্লেখিত ১১ জনকে লোকমান হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশীট দাখিল করে। পরবর্তীতে মামলার বাদী জজকোর্টে পুনরায় নারাজি পিটিশন দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত তা বাতিল করে দেয়। এতে মামলার বাদী হাইকোটের সুপ্রিম কোর্টে শুনানী করে পুনরায় জুডিসিয়াল তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আসেন। নরসিংদী চীফ জুডিসিয়াল আদালত দীর্ঘ ৮ মাস তদন্ত শেষে গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পুনরায় তাদেরকে এ ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় এবং মূল মামলাটি শুরু করার জন্য নথি জজকোর্টে প্রেরণ করেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আমীরুল ইসলাম ভূঁইয়া, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মিয়া মো. মনজুর, নরসিংদী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খোকন, নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল প্রমুখ।