স্টাফ রিপোটার:নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৪ আগষ্ট শুক্রবার সকালে ঘাগটিয়া গ্রামে নৌ বাহীর সদস্য সোহাগের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে নৌবাহীনির সদস্য সোহাগ সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনায় উভয় পক্ষ শিবপুর মডেল থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের পিতামৃত আতব আলীর ছেলে নূরুল আমিনের বসতবাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে নিয়ে একাধিকবার গ্রামীণ সালিশ দরবার হয়েছে। সালিশ দরবারের সিদ্ধান্ত না মেনে নজরুল ইসলাম বসত ঘর নির্মাণ করতে চাইলে এতে বাঁধা প্রদান করে নূরুল আমিনের ছেলে নৌ বাহীর সদস্য সোহাগ। এই বিরোধের জের ধরে তর্কবির্তকের এক পর্যায় মজিবুর,মনির,খোদেজা বেগম,ডালিয়া বেগম,মাফিয়া সহ ৭/৮ জন নৌ বাহীনির সদস্য সোহাগ ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায় অপর পক্ষের অভিযোগ নূরুল আমিন ও তাঁর ছেলে নৌ বাহীনির সদস্য সোহাগ ও ফয়সাল, আয়নাল হক ও তাঁর ছেলে এনামুল অতর্কিত হামলা চালায় নজরুল ইসলামের পরিবারের উপর ।
এসময় উভয় পক্ষের হামলায় নৌ বাহীনির সদস্য সোহাগ, নূরুল আমিন ও তাঁর ছেলে ফয়সাল, আয়নাল হক ও তাঁর ছেলে এনামুল গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় অপর পক্ষের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৫), জাকির হোসেন (৩৭),মনির হোসেন (৩৫), মৃত হারুনুর রশিদের স্ত্রী খোদেজা খাতুন(৭০), আমজাদের স্ত্রী রানী বেগম(৩৫), জাকির হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (৬), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সাদিক হোসেন(৪) আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন। আহত নৌ বাহীনীর সদস্য সোহাগের বাবা নুরুল আমিন ও অপর পক্ষের নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই উভয় পক্ষ হামলায় জড়িয়ে পরে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে জখম করেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদল মিয়া জানান, আমার সামনেই তর্ক-বিতর্কে এক পর্যায়ে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে আমি উভয় পরিবারকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছি। এই বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘটনা ঘটতে পারে। এই ব্যাপারে উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।