মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী :নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় নিলক্ষা ইউনিয়নের টেঁটাযুদ্ধের নায়ক, সন্ত্রাসী, লাঠিয়াল সরদার, বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের উপর আক্রমণসহ চারটি মামলার আসামী নরসিংদী জেলা পরিষদের সদস্য রাজিব আহমেদকে বুধবার দুপুরে ভেলানগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদী ডিবি পুলিশ ।
গ্রেফতারের খবর শুনে নিলক্ষায় পাড়া মহল্লায় আনন্দ মিছিল হচ্ছে। নিলক্ষার টেঁটাসন্ত্রাসের গড ফাদার রাজিব আহমেদ ছিল এলাকায় আতঙ্কের নাম। টেঁটাযুদ্ধ হত্যা চাঁদাবাজি দালাল বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রেই মূল হোতা ছিল রাজিব। শুধু তাই নয় টেঁটাযুদ্ধ নিয়ন্ত্রে আনতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় পৌঁছালে তাদের উপর হামলা চালায় রাজিব ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী । তার হামলায় তৎকালীন ওসি আজহারুল ইসলাম সহ কয়েকজন পুলিশকে আহত হয়। টেঁটা যুদ্ধে পৃষ্টপোষ্টকতা করে টেঁটা রাজিব খ্যাতি লাভ করে ।
সম্প্রতি নিলক্ষার দরি গাও এলাকায় পুলিশ আসামী ধরতে গেলে তার নির্দেশে তার শিশ্য আলাল মুন্সীর নেতৃত্বে চার পুলিশের উপর হামলা করে আহত করে আসামীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় পুলিশের উপর আক্রমণ সহ চারটি মামলা রয়েছে। নিলক্ষ্যার ত্রাস টেঁটা রাজিব এখন তার বাহীনির সদস্যদের টেঁটা সরবারাহ করেন না। টেঁটার পরিবর্তে চরাঞ্চলে এখন আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানি চলে। রায়পুরার চরাঞ্চলে টেঁটাযুদ্ধ আর হয় না। এখন হয় বন্দুক যুদ্ধ।
আর টেঁটার মধ্যে রাজিব ব্যবহার করেন অস্ত্র ও বোমা তারই ধারাবাহিকতা ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সংঘর্ষে আমিরাবাদ গ্রামের শাহজাহান মিয়া (২৭), একই গ্রামের মানিক মিয়া (৪৫), সোনাকান্দী গ্রামের মোমেন মিয়া (২২) ও একই গ্রামের খোকন মিয়া (৩২) নামে দু,পক্ষের সংঘর্ষে এই ৪ জন নিহত হয়েছিল। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে কোন টেঁটা উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু ৭ রাউন্ড গুলিসহ ৯টি আগ্নেয়অস্ত্র উদ্ধার করেছেন। এতে করে সহজেই অনুমান করা যায় চরাঞ্চলে সর্ব প্রথম অস্ত্র প্রবেশ করে ছিলো নিলক্ষার ত্রাস, সেভেন স্টার গ্রুপের মুল হোতা, জেলা পরিষদের সদস্য টেঁটা রাজিব। রাজিবে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকার মধ্যে স্বস্তির নেমে এসেছে। এলাকবাসী তার সুষ্ঠু বিচার চায়।