মো.শফিকুল ইসলাম মতি,নিউজ সময়:নরসিংদীর মনোহরদী চরমান্দালীয়া এলাকায় পূর্ব শক্রতার জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশির ওপর হামলার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ আগস্ট উপজেলার চরমান্দালীয়া গ্রামের নরসিংদী সরকারী কলেজের বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী রাব্বি মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন পাকা রাস্তায় হাস মুরুগ তারানোকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি নেশাখোর বখাটে আব্দুল্লা,হিরন,মহসিন,স্বরুফার সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় তার পিতা আবুল কালামের। পরে এর জের ধরে তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শিক্ষার্থী রাব্বি ও পিতা আবুল কালামকে মেরেফেলার জন্য আক্রমন করে এবং পরিবারের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
এসময় শিক্ষার্থী রাব্বি মিয়া প্রতিবাদ করলে তার উপর চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র রাব্বি ও তার বাবা আবুল কালাম, মা কাজল বেগম,চাচাত ভাই ইমরানকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে এবং সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে চাইনিজ কুড়াল,চাপাটি, ছোড়া উদ্ধারকরে গ্রাম বাসী। পরে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিক্ষার্থী রাব্বি মিয়া ও তার বাবা আবুল কালামকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে জখমি অবস্থায় ভর্তি করে।
সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এই বলে হুমকি প্রধান করেযে সুযোগ পেলে রাব্বি ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবনে শেষ করে দিবে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে শিক্ষার্থী রাব্বি ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। যে কোন সময় সন্ত্রাসীদের দ্বারা শিক্ষার্থী রাব্বি ও তার পরিবারের সদস্যরা খুনজখম হতে পারে।
এ ঘটনায় রাব্বি মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মনোহরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়নি।এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাছে জানার জন্য বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করলেও মোবাইল রিসিব করেনি।