মো. হৃদয় খান: নরসিংদীর পলাশে ৪র্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করায় পলাশ থানায় ওই ইউপি সদস্যসহ ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করেন নির্যাতিত ওই স্কুল ছাত্রীর মা। সোমবার রাতে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের জয়পুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মামলার আসামিরা হলেন, গজারিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন, বারেক মিয়া ও জয়নাল হোসেন।
জানা যায়, সোমবার রাতে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুল ছাত্রী তার দাদীর ঘর থেকে নিজের ঘরে যাওয়ার পথে একই গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে জয়নাল হোসেন (৩৫) মেয়েটির মুখ চেপে বাড়ির পাশে একটি ঝোপে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঝোপে ফেলে চলে যায়। পরে মেয়েটির পরিবার তাকে উদ্ধার করে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা জানান, মেয়েকে উদ্ধার করার পর তার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও জয়নালের চাচতো ভাই বারেক মিয়াকে ধর্ষণের ঘটনা জানালে বারেক মিয়া থানায় মামলা না করতে বাধা প্রদান করে। থানায় মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে, নয়তো এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকিও দিয়েছে। ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন থানায় মামলা না করার জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছে। আমরা বিচারের আশায় থানায় ইউপি সদস্যসহ তিন জনের নামে মামলা দায়ের করি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনের মোঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা দিয়ে আপোষ করার বিষয়ে অস্বীকার করলেও ধর্ষণের বিষয়ে আপোষ করার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার কাছে দুই পক্ষ এসে আপোষ হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। পরে আমি তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করি।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) গোলাম মোস্তাফা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।