নরসিংদীর সদরের মেঘনা নদীর উপর নির্মিত ও পলাশ-কালিগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিত সেতু দুটি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ১২ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সরাসরি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় নরসিংদী জেলা প্রশাসন কার্যালয় কনফারেন্স রুমে উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লেঃ কর্ণেল (অবঃ) নজরুল ইসলাম হিরু (বীরপ্রতিক), নরসিংদী-২ পলাশ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন, জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। এ উপলক্ষে নরসিংদী সদর, গাজীপুরের কালিগঞ্জ ও পলাশ,চরসিন্ধুর এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
নরসিংদী সদর উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের সাথে নরসিংদী শহরের যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষে ৮০ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যায়ে ৬শ’৩০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সেতুটি নির্মাণ করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
শেখ হাসিনা সেতুটি চরাঞ্চলের নজরপুর ইউনিয়ন দড়িনবীপুর গ্রাম এবং নাগরিয়াকান্দী এলাকার সীমান্ত মধ্যবর্তী মেঘনা শাখা নদীর উপর নির্মিত হয়েছে। সেতুটি উদ্বোধনের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।এর মধ্যদিয়েই চরাঞ্চলের মানুষ ও নরসিংদী জেলার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
একই দিনে নরসিংদীর পলাশে ও গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জের মুক্তারপুর শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিত চরসিন্দুর সেতু উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দুই পারের মানুষের যোগাযোগে ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।ঢাকা-সিলেট ও নরসিংদী-চট্রগ্রামসহ ১৬ টি জেলার মানুষের ব্যবসা বানিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এ সেতু। নদীর দুইপাড়ে গড়ে উঠবে শিল্প প্রতিষ্ঠান-বাড়বে কর্মসংস্থান।২০১৬ সালে ২৪ এপ্রিল চরসিন্ধুর সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।এ সেতুর নির্মাণ কাজে ব্যয় হয় ৬২ কোটি ৭৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।