নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদী শহরের চৌয়ালায় নিজ বাবাকে রডের আঘাতে খুন করা ঘাতক ছেলে মামুন কে চৌয়ালা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামুন এলাকায় এসে ঘোরা ফেরা করতে থাকলে এলাকার লোকজন তাকে ঘিরে রেখে পুলিশ কে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, মামুনই তার বাবাকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনার পর থেকে সে পালিয়ে ছিল। বড় ভাই মাসুম ঘটনার সাথে সাথেই আটক হয়েছিল। হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাদের প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।৯ নভেম্বর শুক্রবার সকালে জমি সংক্রান্ত ভাগাভাগির জেরে ক্ষুব্দ দুই পুত্রের হাতে নিহত হন চৌয়ালা এলাকার মুদি দোকানদার ফজলুলল করিম।এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায় স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ২য় বিয়ে করেন তিনি। সেই বিয়ের পর থেকেই ছেলেরা সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দেবার জন্য চাপ দিতে থাকে। এতে রাজী হননি ফজলুল করিম। ছেলেরা মাদকাসক্ত বলে ও অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে তাদের কে দুই বার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। দিনে দিনে পিতার প্রতি ক্ষুব্দ হতে থাকে দুই ছেলে মাসুম ও মামুন। ঘটনার দিন মেয়ে মিনার প্রবাসী স্বামী কে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসার জন্য রওয়ানা দেয়ার সময় পিতার কাছে হাত খরচের টাকা চায় দুই ছেলে। এসময় ফজলুল করিম এয়ারপোর্ট থেকে ফিরে এসে টাকা দিবেন বলে জানান। এতে ক্ষুব্দ হয়ে মামুন রড দিয়ে পিতাকে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ফজলুল করিমের। পিতার অবস্থা বেগতিক দেখে মামুন একটি মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। অপর ছেলে মাসুম কে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ফজলুল করিম হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার বাদী হয়ে মামুন ও মাসুম কে আসামী করে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।