Share on Facebook

মো. হৃদয় খান: নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ও নীলক্ষায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধায় রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের মেঘনা নদী থেকে কাউসার ও আবদুল হাই নামে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে ওই সংঘর্ষে মোট ৬ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বাশঁগাড়ি ইউপি সদস্য জয়নাল মেম্বারের ছেলে কাউসার (৩২) ও একই গ্রামের আব্দুল হাই (৩৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে নিহতরা হলেন বাঁশগাড়ি গ্রামের আবদুল্লাহ ফকিরের ছেলে তোফায়েল রানা (১৬) নিলক্ষা ইউনিয়নের বাড়ীগাঁও গ্রামের সোহরাব (৩০) ও একই ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের সোবান মিয়ার ছেলে স্বপন (২৭) ও মহরম আলী (৪০)।

উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুপক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলায় চেয়ারম্যান সিরাজুল হকসহ একাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে ১৬ নভেম্বর শুক্রবার সকালে বাঁশগাড়ি গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক জামাল, জাকির ও সুমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়। পরে দুপুরে এই সংঘর্ষ পাশের ইউনিয়ন নিলক্ষায় বিবিধ মান দুটি গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়। ওই সময় তাৎক্ষণিক ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক। ঘটনার ৭দিন পর বিকালে গোপিনাথপুর মেঘনা নদীতে দুজনের লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতেদের লাশ উদ্ধার করে।

রায়পুরা থানার ওসি (অপারেশন) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মেঘনা নদী থেকে দুটি লাশ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষরা তাদের হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছিল।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *