মো. হৃদয় খান: নরসিংদীর শিবপুরে নৌকার পোলিং এজেন্টকে গলাকেটে হত্যার ৩ দিনেও মামলা নেয়নি থানা-পুলিশ।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তার সমর্থকরা প্রকাশ্যে সিংহ প্রতীকে সিল মারলে নৌকা ও সিংহ প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে আধাঘন্টা একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। নৌকার পোলিং এজেন্ট মিলন মিয়া সিংহ প্রতীকে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ায় সিংহ প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সমুখ্খে নৌকার পোলিং এজেন্টকে আক্রমন করে প্রকাশ্যেই জবাই করে হত্যা করে। এসময় আতঙ্কে মানুষ দিক-বেদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। এ ঘটনায় কেন্দ্রটিতে সাময়িক ভোটগ্রহন বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বেলা ২ টায় পুনরায় ভোটগ্রহন শুরু করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। নৌকার পোলিং এজেন্ট মিলন মিয়ার লাশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও থানা-পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন মামলা গ্রহন করেনি।
নিহতের স্বজনেরা জানায়, সিংহ মার্কায় প্রকাশ্যে জাল ভোট প্রদান করলে নৌকার পোলিং এজেন্ট মিলন মিয়া বাধা প্রদান করায় তাকে নৃশংশভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে এ ঘটনায় আওয়ামীলীগের বিজয়ী প্রার্থী জহিরুল হক ভূইয়া মোহন ও তার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানান।
শিবপুর মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করে নি। তবে মামলা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে। শীঘ্রই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।