একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে নৌকার এজেন্ট মিলন মিয়া হত্যায় বিদায়ী এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তার ভাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম মেল্লাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত মিলনের স্ত্রী পারভীন বেগম বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় এ মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- আজিজুল হক, বকুল মিয়া, আজিজুল, মো. সোহেল মিয়া, পিয়াল হায়দার ও আমজাদ। মামলায় সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। শিবপুর মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ও তার ভাই তাজুল মোল্লাসহ তাদের লোকজন কুন্দারপাড়া কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক সিংহ প্রতীকে সিল মারার চেষ্টা করেন। এ সময় নৌকার এজেন্ট মিলন মিয়া বাধা দিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যায়। পরে তাকে এলোপাতাড়ি মারধরের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

নিহত মিলন মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, আমার স্বামী সারা জীবন নৌকার জন্য জানপ্রাণ ছিলেন। এ কারণেই ওনাকে নৌকার এজেন্ট করা হয়। কিন্তু তা-ই কাল হল তার। যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। নিহতের ছোট ভাই সাত্তার মিয়া বলেন, এমপি সিরাজ মোল্লার উপস্থিতিতে সিংহ প্রতীকের ব্যালটে সিল মারা হচ্ছিল। তা দেখে নৌকার এজেন্ট হিসেবে থাকা আমার ভাই বাধা দেয়। তখন এমপির লোকজন আমার ভাইকে ধাওয়া করে হত্যা করে। শিবপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলার বাদী বুধবার সকালে থানায় অভিযোগ করেন। আমরা মামলার নম্বর দিয়ে রেখেছি। তবে অভিযোগপত্রে তথ্যগত ত্র টি থাকায় আমরা বাদীকে থানায় আসতে বলেছি। তিনি এখনও আসেননি।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *