মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (৭) ফুফা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গেল ১৪ জানুয়ারি (সোমবার) উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের বিলাসেরপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটলেও গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়। এদিকে ধর্ষণের পর শিশুটিকে ৫১০ টাকা হাতে দিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৪ জানুয়ারি (সোমবার) সন্ধ্যায় বিলাসেরপাড় গ্রামের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৯ বছরের শিশুকে তার খেলার সঙ্গী ও আপন ফুফাতো ছোট ভাই সঙ্গে করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় তাদের সঙ্গে রাতে থাকার জন্য। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন রাতের খাবার শেষ করে একই সঙ্গে ঘুমাতে যায়। মধ্যরাতে শিশুটির ফুফা কুদরত মিয়া শিশুটিকে ঘুম থেকে তোলে ঘরের মেঝেতে ফেলে ধর্ষণ করে। তবে কুদরত রাতে এ ঘটনা ঘটানোর সময় তার স্ত্রী বাড়িতে ছিল না। পরে শিশুটি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে সম্পূর্ণ ঘটনাটি তার মাকে খুলে বলে।
পরে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন আছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই মো. কুদরত মিয়া পলাতক রয়েছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. পলাশ রায় জানান, শিশুটিকে প্রয়োজনীয় সকল ধরণের মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলেই আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় তা প্রেরণ করবো।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে গতকাল ২০ জানুয়ারি থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে অভিযুক্ত কুদরত মিয়াকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান বাংলাদেশ পুলিশের এ কর্মকর্তা।