নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পন্ডিতপাড়ার গাবতলি গ্রামে নির্মিত সড়কটি উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়েছে। নিন্মমানের কাজের কারণেই নির্মাণের পনের দিনের মাথায় রাস্তার অনেকাংশে ভেঙে গেছে।আগামী এপ্রিল মাসে এটি উদ্বোধন হওয়ার কথা।
জানা যায়, গত পাঁচমাস পূর্বে ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে এক হাজার মিটার এই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। গাবতলি গ্রামের প্রায় দুই হাজার বাসিন্দাদের যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য জিডিপি-থ্রী প্রকল্পের এই রাস্তাটি করা হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এমএনএস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম থাকলেও রাস্তাটি বাস্তবে নির্মাণ কাজ করেন কামাল হোসেন নামে স্থানীয় এক ঠিকাদার।স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তাটি নির্মাণে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও ঠিকাদার কামাল হোসেন অধিক মুনাফা লাভের আশায় অনেকটা নিন্মমানের কাজ করেছেন। যার কারণে নির্মাণের প্রায় পনের দিনের মাথায় রাস্তার অনেকাশেং ভেঙে ও ধসে গেছে।
গাবতলী গ্রামের মহসীন গাজী নামে এক বাসিন্দা জানান,এই গ্রামের হাজারও মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল রাস্তাটি পাকা করণ করার। সরকার রাস্তাটি করার জন্য বরাদ্দ দিলেও ঠিকাদার রাস্তাটির ভাল ভাবে কাজ করেনি। গত দুই তিন দিনের বৃষ্টিতেই রাস্তার অনেক স্থান ভেঙে গেছে। একই গ্রামের হারুন গাজী নামে এক ব্যক্তি জানান, রাস্তাটি নির্মাণের সময় ঠিকাদারকে অনেক বার বলা হয়েছে ভাল মানের ইট ব্যবহার করতে, কিন্তু তারা অনেকটা বাতিল ইট ও কংক্রিট ব্যবহার করেছে। এছাড়া পিচঢালাইও ছিল অনেক ন্মিমানের। রাস্তার দুই পাশের পাড়গুলোও বাধা হয়নি।
এসব বিষয়ে ঠিকাদার কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রকল্প অনুযায়ী রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ছিল ১ হাজার মিটার। এখানে ৫৫ মিটার বেশি করা হয়েছে। যে স্থানে ভেঙে গেছে তা পুনরায় সংস্কার করে দেওয়া হবে। রাস্তা নির্মাণে কোনো নিন্মমানের কাজ করা হয়নি।
পলাশ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, রাস্তাটি এখনো ঠিকাদার থেকে বুঝে নেওয়া হয়নি। কাজের ত্রুটি পরীক্ষা করার জন্য ঠিকাদার থেকে এক বছরের জন্য জামানত রাখা হয়। কোনো ত্রুটি থাকলে ঠিকাদার তা সংস্কার করে দিবে। রাস্তাটির কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি, এগুলো সংস্কারের জন্য ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে।