স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর সদর উপজেলার হাজিপুরে আল আমিন বেকারিতে বিষাক্ত রং ও এ্যামুনিয়াম দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিস্কুট ও রুটিসহ নানা রকম বেকারি পণ্য। দীর্ঘ দিন যাবৎ গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে মরণ ব্যাধি অ্যামোনিয়া ও কাপরের রং মিশ্রন করে বিভিন্ন আইটেমের বিস্কুট তৈরি করছেন মালিক আল আমিন মিয়া ছাত্তার।

মালিকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি বেকারিতেই অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়। তাই আমিও করি। আর রং হচ্ছে কোকো পাউডার।

সরজমিনে গেলে ক্যামেরায় বের হয়ে আসে মিনা রং মিশানো বিস্কুট ও কেক, টয়লেটের ভিতরে বিস্কুটের ট্রে নোংরা পরিবেশের এই চিত্র। বেকারিতে বিস্কুট ও কেক তৈরিতে ব্যাবহার করা হচ্ছিলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক রং ও অ্যামোনিয়া। প্রতিকার হিসেবে উক্ত অ্যামোনিয়া দ্বারা তৈরি বিস্কুট বাজারজাত করছে এবং বিএসটিআই লগু লাগানো সহ বিভিন্ন বেকারির পলিথিনের পেকেট যেমন ঢাকা বেকারি, কোয়ালিটি বেকারি সহ বিভিন্ন নামের স্টিকার লাগানো রয়েছে বিস্কুটের পেকেটে।

উল্লেখ্য, আল আমিন বেকারির কোন নির্দিষ্ট কাগজ পএ নেই এবং নরসিংদী বেকারির মালিক সমিতির আওতাভুক্ত ও নন।

বেকারির মালিক সমিতির সভাপতি সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমাদের বেকারীর মালিকদের নিয়ে প্রতিমাসে ডিসি অফিসে বিস্কুটের সাথে কি কি ব্যাবহার করতে হবে, আমরা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। আর আলামিন সাহেব মালিক, কিন্তু তিনি নিজেই নীতিমালা জানেন না। প্রতি মাসে আমাদের মাসিক সভা হয়, মালিকরা সেখানে উপস্থিত থাকেন। আমরা বেকারির মালিকদের স্পষ্ট বলে দিয়েছি রং-এ্যামোনিয়াম ব্যবহার করা যাবে না।

এ ব্যপারে জনস্বাস্থের জন্য প্রশাসনের কাছে এলাকার সাধারণ মানুষ জানায়, আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য বিস্কুট কিনে নিয়ে যাই। কিন্তু আমরা যেনে শুনে বিশ খাচ্ছি। আজ থেকে আমরা সচেতন। প্রতারক ব্যাবসায়ী আল আমিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবি সহ প্রশাসনের আইননানুগত ব্যবস্থার জোর দাবি জানান তারা।

এখানে কমেন্ট করুন: