মো: শফিকুল ইসলাম মতি নরসিংদী :
নরসিংদীর শিবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার ব্যক্তিগত কার্যলয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ওই সময় হামলাকারীরা সভার মাইক, চেয়ার-টেবিল ও অফিসের জানালা ভাংচুর করেছে। শুক্রবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।তবে এলাকাবাসি জানায় লোক দেখানোর জন্য প্রতিপক্ষকে ফাসানোর জন্যই নিজের লোক দিয়ে নিজ অফিসে এই হামলা চালিয়ে। সিরাজুল ইসলাম মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার জনপ্রিয়তা দেখে পরিকল্পিতভাবে একটি হত্যাকান্ড ঘটিয়ে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। উক্ত মামলায় সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
সেই মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে দীর্ঘ দুই মাস পর নিজ এলাকায় শিবপুরে যান তিনি। এই উপলক্ষ্যে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভার আগমুহুর্তে ১২ থেকে ১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী সভার মাইক, চেয়ার-টেবিল ও অফিসের জানালা ভাংচুর করে। পরে বিকাল ৫টায় সিরাজুল ইসলাম মোল্লা তাঁর নির্ধারিত মত-বিনিময় সভা করেন। ওই সময় তিনি বলেন, আমি কিংবা আমার পরিবার মিলন হত্যাকান্ডে জড়িত নয়। এই মামলায় নিরীহ লোকজনকে আসামি করা হয়েছে।
আমি এই ঘটনার প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।সভায় তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হারুনুর রশিদ খাঁনকে সমর্থন দেন। তিনি দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সকল নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন।পরে তিনি জানান, এলাকায় না আসতে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য আমার অফিসে এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধার নির্দেশে সন্ত্রাসী কাউছার, সজিব মোল্লা ও শ্যামলসহ ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী আমার অফিসে হামলা চালিয়েছে।
এই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দলীয় অভ্যান্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা থানায় মামলা করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মৃধা বলেন, সিরাজ মোল্লা সভায় বক্তব্যে বলেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ওনার অফিসে হামলা চালিয়েছে। আর এখন রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।