পলাশ প্রতিনিধি: নরসিংদীর পলাশে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পলাশ থানা পুলিশ। এ মামলায় ৪ শতাধিক অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করা হয়েছে। শনিবার সকালে থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করে।
মামলায় ৫ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। বাকিরা বাগপাড়া ও চরপাড়া গ্রামের অজ্ঞাতনামা। এ ঘটনায় এনায়েত হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মীর সোহেল রানা। মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামীরা হলেন, মানছুর মিয়া (৩২), রনি মিয়া (৩২), জাকির হোসেন (৪০) ও গৌতম পাল (৪০)।
মামলার এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করে, গত শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাগপাড়া গ্রামে অবস্থিত প্রাণ আরএফএল গ্রুপের একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে দুর্ঘটনাস্থল কাভার্ডভ্যান ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে ঘটনাস্থলে থাকা ঘোড়াশাল ফাঁড়ির ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর রহমান, এসআই জহিরুল ইসলাম, এসআই আমিনুল ইসলাম, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, আবুল হোসেনসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে আহত করে। পরে গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ ও ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মামলার বাদী এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের ওপর হামলায় গ্রামবাসীদের প্রত্যক্ষ মদদ দিয়েছে মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করতে চাইলে এজাহারভুক্ত আসামিরা গ্রামবাসীদের পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেয়। যে কারণে গ্রামবাসী পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা করে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে গ্র্রেফতার আতঙ্কে প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বাগপাড়া ও চরপাড়ার দুই গ্রাম।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ঘটনার দিন শান্তিপুর্ণ এলাকাবাসীর ওপর পুলিশ অতর্কিতে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। পুলিশ আবার নতুন করে সাধারণ গ্রামবাসীদের হয়রানি করতে এই মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মীর সোহেল রানা জানান, ঘটনার প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে সাধারণ মানুষকে কোনো প্রকার হয়রানি করা হবে না।