মো: শফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী : নরসিংদী জেলার মনোহরদীতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে শরীফ হোসেন (৩৭) নামে এক ভ্যানচালককে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার একদুয়ারিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি একদুয়ারিয়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র।
ওই রাতেই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। ধর্ষিতা ওই কিশোরীর মা সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে তিনি শরীফের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের পর থেকেই তারা গাজীপুরের কালিগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক মেয়ে (১৫) ও দশ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এক বছর আগে বাড়িতে কেউ না থাকায় কিশোরী মেয়েকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বাবা শরীফ হোসেন। ভয়ে মেয়েটি এ ঘটনা কাউকে জানায়নি। কিছুদিন পরই একই কায়দায় আবারো তাকে ধর্ষণ করা হয়। এভাবে কয়েকদিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে মেয়েটি তার মাকে সব জানিয়ে দেয়। লোকলজ্জার ভয়ে মা এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানাননি। দিনদিন স্বামী আরো বেপোরোয়া হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজনও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সম্পর্কে জেনে যান।
পরে এলাকাবাসী তাদেরকে এলাকা থেকে বের করে দেন। এরপরই মাস তিনেক আগে শরীফ পরিবার নিয়ে মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। সেখানে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে মেয়েকে এবং ছেলেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি করান।
২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে কোনো এক সময় মেয়েটি গোসল করতে যায়। এ সময় বাবা শরীফ হোসেন গোসলখানায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে সময় কিশোরীর মা বাড়ির বাইরে ছিলেন।
সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে এলে কিশোরী তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। এ সময় কিশোরীর মা আশপাশের কয়েকজনকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। পরে ধীরে ধীরে পুরো এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়ে পড়লে এলাকাবাসী মিলে শরীফ হোসেনকে আটক করে মনোহরদী থানায় খবর দেন। পরে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষণের অভিযোগে শরীফ হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মনোহরদী থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ধর্ষক শরীফ হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এখানে কমেন্ট করুন: