`আমাদের ভবনে আগুন লেগেছে। এই মুহূর্তে আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে। এখান থেকে বেরোতে পারব কিনা জানি না। আমার জন্য সবাইকে দোয়া এবং মাফ করে দিতে বলো।’ মৃত্যুর আগে স্ত্রী এবং পরিবারের স্বজনদের এভাবেই মুঠোফোনে বলে গিয়েছিলেন বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে নিহত টাঙ্গাইলের নাহিদুল ইসলাম তুষার।
বছর চারেক আগে স্ত্রী নদীর সঙ্গে তুষারের বিয়ে হলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি।
তুষারের ভাই শিশির জানান, ভবনটিতে আটকা পড়ার পর তুষার মুঠোফোনে তার বাবা ইসাহাক আলী, মা নূরুন্নাহার, বড় ভাই তুহিন ও শিশিরের সঙ্গেও কথা বলেন। তখন মুঠোফোনে শুনা যায় তিনি অন্যদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন।
শুক্রবার ভোরে তুষারের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে হৃদয়বিদায়ক অবস্থা তৈরি হয়। লাশ সামনে রেখে নিশ্চিত মৃত্যুপথযাত্রী স্বজনকে বাঁচাতে না পারায় সবার আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। এলাকাবাসীও অশ্রুসজল হয়ে যায়।
সকাল ১০টায় বাড়িতে জানাজা শেষে এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।