পলাশ প্রতিনিধি: নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালি গ্রাম থেকে বিরল প্রজাতির চারটি বাচ্চাসহ একটি মা গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়েছে।

গন্ধগোকুলগুলো শনিবার বিকালে ওই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মনু মিয়ার বসত বাড়ি থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিড়ালের মতো দেখতে ছুঁচালো মুখ বিশিষ্ট গন্ধগোকুলের থাকে লম্বা লেজ। সারা শরীর লোমে ঢাকা। চোখের কোণে কে কাজলের টান। রাতের অন্ধকারে চোখ দুটি পিট পিট করে জ্বলে। আর গায়ে আতব চালের মতো সু-গন্ধ।

গত ২৯ মার্চ শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের মনু মিয়া বাড়িতে থাকা কাপড়ের লাগেজ খুলতে গেলে গন্ধগোকুলের চারটি বাচ্চা ও একটি বড় মা গন্ধগোকুল দেখতে পান। এ সময় লাগেছে থাকা বাচ্চাগুলো আটক করতে পারলেও মা গন্ধগোকুলটি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে অই দিন রাতেই মনুমিয়া খাঁচার ভেতরে চারটি বাচ্চা দিয়ে বড় গন্ধগোকুলটি ধরার ফাঁদ পাতেন। খাঁচার ভেতরে থাকা বাচ্চাগুলো বাঁচাতে মা গন্ধগোকুলটি আসা মাত্রই আটকা পড়ে যায়। পরে সকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য মানুষ বিরল প্রজাতির প্রাণীগুলো দেখতে ছুটে আসেন ওই বাড়িতে ।

এলাকাসীর অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সেরাজুল, জাকারিয়া, রাজিবের বাড়িসহ অনেকের বসতবাড়ি থেকে কবুতরের বাচ্চা, হাঁস মুরগির ডিম, রান্না ঘরে ঢুকে শাক-সবজি খেয়ে চম্পট দিচ্ছিল প্রাণীটি। অনেক দিন ধরে ফাঁদ পেতেও ধরা যাচ্ছিল না প্রাণীটিকে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা ইয়াছমিন বলেন, ওই গ্রামে বাসেকা পাওয়া গেছে খবর পাওয়ার পর গিয়ে দেখি বাসেকা নয়, এ গুলো গন্ধগোকুল। পরবর্তীতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে ওই গ্রামে আসতে বলা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর এটাকে সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করছে। এটা বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির একটি প্রাণী। এর সংরক্ষণ করা আমাদের উচিত।

এখানে কমেন্ট করুন: