মো: শফিকুল ইসলাম মতি নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদীতে কাজল নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরনের পরে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী চার দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ব্যাবসায়ীর বাড়ী নরসিংদী শহরে বাসাইল এলাকার আ: বাসেত খন্দকারের ব্যাবসায়ী ছেলে কাজল খন্দকার গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতি বার দুপুর ২ টায় ব্যাবসায়ী কাজল খন্দকার কাচাঁকলা আনার জন্য নরসিংদী ভেলানগর হইতে কুষ্ঠিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
ইতিমধ্যে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগ কারী বাসেত খন্দকার সাংবাদিকদের জানায়। ২৯ মার্চ শুক্রবার সন্ধা ৬ টার সময় ব্যাবসায়ীর পিতা আ: বাসেত খন্দকারের মোবাইলে ০১৭৮৬২২৭৬৭৬ হতে একটি কল আসে পিতা আ: বাসেত খন্দকারে মোবাইলে অপহরন কারী তার ছেলেকে অপহরনের কথা বলে চার লক্ষ টাকা মুক্তি পন দাবী করে।
পরে অপহরন কারীর নাম জানতে চাইলে তার নাম মারুফ এবং তার সাথে সহ ৩/৪ জন অপহরন কারী আছে বলে জানায়। চার লক্ষ টাকা মুক্তিপন না পেলে ব্যাবসায়ী কাজল খন্দকারকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় অপহরন কারীরা। অপহরন কারীরা বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর,আরবপুর,কলাবাজারের নিকট আছে বলে জানায় তারা। আ: বাসেত খন্দকার জানায় আমি সাথে সাথে ব্যাবসায়ী ছেলে কাজল খন্দকারকে উদ্ধারের জন্য ঝিনাইদহ সদরে গিয়ে অপহরন কারীদের মোবাইলে কল দিলে অপরিচিত একজন লোক এসে আমার নিকট চার লক্ষ টাকা দিতে বলে।
টাকা না দেওয়ায় অপহরন কারী চলে যায়। পরে অপহরনকারীদেও সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইলে ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর নিরুপায় হয়ে আমি নিজ বাড়ীতে চলে আসলে অপহরন কারীরা আবারো চার লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। বর্তমানে আমার ব্যাবসায়ী ছেলে কাজল খন্দকার অপহরন কারীদের জিম্মায় আছে আমি অপহরন কারীদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ রাখছি এবং মুক্তিপন দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছি । আমি পুলিশকে জানানোর পর ও পুলিশ আমার ছেলেকে চারদিনেও উদ্ধার করতে পারেনি আমার ছেলে এখনো অপহরন কারীদের নিকট আটক আছে আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে না পেরে ১ এপ্রিল নরসিংদী পুলিশ সুপার বরাবরে অপহরন কারীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এখনো প্রশাসন এ বিষয়ে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না এ বিষয়ে উদ্ধতন কতৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।