মো. হৃদয় খান: সৌদি আরবের শাকরা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষদের হারিয়ে দিশেহারা তিনটি পরিবার। সংসারের দৈন্যদশা কাটিয়ে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গত একমাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমায় দুর্ঘটনায় নিহতরা। নিহত ১০ জন বাংলাদেশির মধ্যে তিনজনের বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায়।

নিহত তিনজন হলেন, মনোহরদী উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের মান্নান মাঝির ছেলে জামাল উদ্দিন মাঝি, শেখেরগাঁ গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে ইমদাদুল ও খিদিরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে মো. আল আমিন।

সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানা যায়, বুধবার সকালে রিয়াদ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে শাকরায় ১৭ জন বাংলাদেশিকে বহনকারী একটি মিনিবাস চাকা ফেটে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ বাংলাদেশি নিহত হন। তারা সবাই আল হাবিব কোম্পানি ফর ট্রেডিং কমার্শিয়াল কন্ট্রাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।

দুর্ঘটনায় নিহত জামাল এর ভাই মো. কামাল বলেন, ‘চার লাখ টাকা ঋণ করে মাত্র ২৯ দিন আগে সে সৌদি আরবে যায়। তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। এখানে তরকারি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সংসারের সচ্ছলতা ফিরাতে বিদেশে পাড়ি জমায়। কিন্তু ভাগ্যে সহায় হইলনা। টাকাও গেলো ভাইটাও গেলো। সাথে আমাদের কপালও পুড়ল।’

সবার ছোট ভাইকে হারিয়ে এভাবেই শোকাতর ইমদাদুলের ভাই মো. মোশারফ আহাজারি করছিল। তিনি বলেন, ‘৩৬ দিন আগে তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। একমাস যেতে না যেতেই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর। তা মানতে পারছিনা। সরকারের কাছে একটাই দাবি দ্রুত যেন নিহতদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করেন।’

এখানে কমেন্ট করুন: