শফিকুল ইসলাম মতি: নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের বাগহাটা এলাকার রুকু ডাইং এন্ড প্রিন্টিং ফিনিসিং কারখানার বর্জ্য ও বিষাক্ত ক্যামিকেলে ব্রহ্মপুত্র নদ দূষিত হচ্ছে। কারখানার বিষাক্ত ক্যামিকেলে শ্রমিকদের নানান বিষাক্ত রোগসহ হাপানী, চর্ম এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় বিষাক্ত বর্জ্যে এলাকাবাসী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা যায়।

কারখানায় শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকার পরেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উক্ত কারখানায় বেশিভাগ শিশুরা খোলা হাতে ক্যামিকেলজনিক বিভিন্ন কাপড় ও ডাইংয়ে কাজ করছে। রাষ্ট্রীয় আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকার পরেও অবাধে তারা শিশুদের দিয়ে এই সমস্ত বিষাক্ত ক্যামিকেলের কাজ করাচ্ছে। অন্যদিকে দূষিত পানির দুর্গন্ধ পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

কারখানার শিশু শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রায়ই বিভিন্ন হাপানি, শ্বাসকষ্ট, চর্মসহ বিভিন্ন কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

বাগহাটা এলাকার মনির হোসেন জানায়, উক্ত ডাইং এর বিষাক্ত ক্যামিকেলের পানি তারা পাইপ দিয়ে নদীতে এবং বিভিন্ন খালে-বিলে ফেলছে। ফলে আমাদের মাছ চাষ করা অনুপযোগী হয়ে উঠছে। এমনকি বিষাক্ত ক্যামিকেলের কারনে ফসলী জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার কারনে ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে না। কারখানাটিতে ইটিপি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রেখে বিষাক্ত ক্যামিকেল খালে-বিলে ও নদীতে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে। এছাড়াও চোরাই পথে তারা গ্যাস ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রুকু ডাইং এন্ড প্রিন্টিং ফিনিসিং এর মালিক আঃ মোমেন জানায়, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই আমরা এইসমস্ত কাজ করে আসছি। আমাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। আপনারা যা খুশি তা লিখতে পারেন।

রুকু ডাইং এন্ড প্রিন্টিং ফিনিসিং এর অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করাসহ এইসব বিষাক্ত ক্যামিকেল ও বর্জ্য থেকে এলাকাবাসী রক্ষা চায়।
এসব বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন।

এখানে কমেন্ট করুন: