নরসিংদীতে নিজঘরে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের পর পৃথক স্থান থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিনগত রাতে ও শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রাম থেকে স্ত্রীর ও বাবুরহাটের একটি তিনতলা ভবনের কার্নিশ থেকে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দম্পতি সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামের তিন সন্তানের জনক ও জননী রাজু মিয়া (৪২) ও তাঁর স্ত্রী মানছুরা বেগম (৩৮)। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ ঘরের দরজার তালা ভেঙে বিছানায় গৃহবধূ মানছুরার মরদেহ দেখতে পায় সন্তানরা ও বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর রাত থেকে পলাতক ছিলেন স্বামী রাজু মিয়া।
পরে সকালে সদর থানার বাবুরহাট এলাকার একটি তিনতলা ভবনের কার্নিশে দড়িতে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে নিহতের স্বজনেরা মরদেহটি স্বামী রাজু মিয়ার বলে শনাক্ত করেন।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘স্বামী মাদকাসক্ত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে রাতে স্ত্রীকে হত্যার পর পলাতক মাদকাসক্ত স্বামী রাজু মিয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’