উপজেলার আহম্মেদপুর ইউনিয়নে নকল ঘি তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২৬ মে) দুপুরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৪৫ মণ নকল ঘি এবং ঘি তৈরির মেশিনারিজসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কারখানার মালিক সুনিল কুন্ড ও শ্রমিকরা পলিয়ে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান ও সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিৎ দেবনাথ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। রোববার উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় নকল ঘি তৈরি করে আসছিলো তারা। নকল ঘি তৈরি করে তারা প্রান কোম্পানিতে সরবারহ করে থাকে। এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ করে ভেজাল ঘি বাজারজাত করা হয়। এই ঘি রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গাতে সরবরাহ করা হয়। এই কারখানার বর্জ্যের গন্ধে পরিবেশেরও বেশ ক্ষতি হচ্ছে।
সুনিল চন্দ্র কুন্ড সুজানগর উপজেলার চরগোবিন্দপুর গ্রামের যতীশ চন্দ্র কুন্ডের ছেলে। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজিৎ দেবনাথ জানান, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে এই কারখানায় নকল ঘি তৈরি করে আসছিল সুনিল কুন্ড নামের এই ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করি।
কারখানায় অভিযান চালিয়ে বুঝতে পারি কি ধরনের নকল ঘি তারা তৈরি করছিল। এই ঘি বিভিন্ন ক্যামিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা এই কারখানা থেকে প্রায় ৪৫ মণ নকল ঘি জব্দকরি যার বর্তমান বাজার দাম প্রায় ২০ লাখ টাকা। এসময় ওই নকল ঘি তৈরির কারখানা সিলগালা করে জব্দকৃত নকল ঘি সন্ধ্যার আগে পাবনা শহরের পৈলানপুরস্থ পৌরসভার আবর্জনার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
অভিযানের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহামুদ হাসান জানান, শুধু রমজান উপলক্ষে না, এই ধরনের অভিযান কার্যক্রম আমরা মাঝেমধ্যেই করে থাকি। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জনস্বার্থে এই ধরনের নকল ভেজাল মালামাল তৈরির কারখানার সন্ধান যেখানে পাওয়া যাবে আমাদের অভিযান চলবে। খাদ্যে ভেজাল দিয়ে জনস্বার্থের ক্ষতি করবে এমন পণ্য বাজারজাত করতে দেয়া হবে না।