মো: শফিকুল ইসলাম মতি নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদী সরকারি কলেজে ব্যবহারিক পরিক্ষার নামে চাঁদাবাজি অবিযোগ পাওয়া গেছে।তারা ২০১৯ সালের এইচ,এস,সি পরিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরিক্ষা নেওয়ার সময় তাদের কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে ২০০-৩০০ টাকা করে অতিরিক্ত ফি আদায় করেন। মনোহরদী সরকারি কলেজের ২০১৯ সালের এইচ, এস,সি পরিক্ষার্থীগণ জানান,বিজ্ঞান বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন,জীববিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি, উচ্চতর গণিত, মোট ৫ টি বিষয় মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ১ম পত্র এবং কৃষি ২য় পত্র মোট তিনটি বিষয়।
বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মোট ৮টি বিষয়ের উপর ব্যবহারিক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল পরিক্ষায় সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে মনোহরদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে দূর্ণীতিবাজ কতিপয় শিক্ষক পরিক্ষার্থীদের জীম্মি করে প্রতি বিষয়ে ২০০-৩০০টাকা চাঁদা গ্রহণ করেন। সরেজমিনে জানাযায়,ব্যাবহারিক পরিক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে বিজ্ঞান বিভাগের পরিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা করে এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ৭০০ শত টাকা দাবি করলেও ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় ।
সরেজমিনে জানাযায়, উক্ত পরিক্ষা কেন্দ্রে এইচ,এস,সি পরিক্ষার্থী মোট ৬৪৮ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬৩ জন, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫৮৫ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে । তথ্যমতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট ৩,৮৭,০০০ টাকা আত্মসাৎ করে। অত্র কলেজের কৃষি বিষয়ের শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন,আমি কোনো টাকা গ্রহণ করিনি, আমি দূরের শিক্ষক, যারা টাকা নিয়েছে তাদের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না ।
আপনি অন্যদের কাছে জানুন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক শিক্ষক ও পরিক্ষার্থীগণ উক্ত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন। অত্র কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম ফারুক জানান,ব্যবহারিক পরিক্ষায় প্রতি বিষয়ে ২০ টাকার অতিরিক্ত কোনো অর্থ গ্রহণের নির্দেশনা প্রধান করা হয়নি । যদি কেউ নিয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । আর কলেজের কোনো বিষয়ে আমার দেখাশোনার দায়িত্ব না । মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিয়া আক্তার শিমু বলেন,এ বিষয়ে আমার জানা নাই, তবে সত্যতা যাচাই করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।