প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৫:৫৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১, ২০১৯, ৮:৩৪ এ.এম
নরসিংদীতে কলেজে ফ্রি ভর্তির লোভ দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ, ডাক্তার গ্রেফতার
মো. হৃদয় খান: নরসিংদীতে নার্সিং কলেজে ফ্রি ভর্তির প্রলোভনে এক কিশোরীকে ২ মাস বাসায় আটকে রেখে শারীরিক, পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করছে জুলফিকার আলী নামের এক পাষণ্ড ডাক্তার।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাত ১১টায় ধর্ষক ডাক্তার জুলফিকার আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে গাজীপুর জেলার হোতাপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এবং উত্তর শীলমান্দী সোনিয়া নিটওয়্যার মিলে কর্মরত এমবিবিএস ডাক্তার।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী ময়মনসিংহের পাগলা থানার গোয়ালবড় গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে। তাকে ময়মনসিংহ থেকে নিয়ে এসে একটি বাসা ভাড়া করে এ পাশবিক নির্যাতন চালায় জুলফিকার আলী নামে এক ডাক্তার। নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শীলমান্দী গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী বলে, ২০১৮ সালে ময়মনসিংহের পাগলা থানার গোয়ালবড় গ্রামের শহীদ নগর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করি। দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে মানুষের সেবা করবো। তাছাড়া আমি লিভার রোগে ভুগছিলাম। চিকিৎসার জন্য মা এই ডাক্তারের (জুলফিকার আলী) কাছে নিয়ে যায়। সবকিছু জেনে ডাক্তার আমাকে নার্সিং কলেজে ফ্রিতে ভর্তি করার প্রস্তাব দেন। সেই জন্য নরসিংদীতে আসতে হবে বলে জানান। একই সঙ্গে তার বাসার কাজকর্ম করে দেয়ার কথা বলেন। সরল বিশ্বাসে মা আমাকে এখানে পাঠায়। বাড়িতে আসার পর ডাক্তারের রূপ পাল্টে যায়। খারাপ কাজে রাজি না হলে নানা রকম ভয়ভীতিও দেখাতো। পরে বাড়িওয়ালা চাচাকে জানাই।
উত্তর শীলমান্দী সোনিয়া নিটওয়্যার মিলে কর্মরত এমবিবিএস ডাক্তার জুলফিকার আলী দুই মাস আগে সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকার শর্তে একটি রুম ভাড়া নিয়ে পরিবার না এনে ওই কিশোরীকে ভাগ্নি পরিচয় দিয়ে বাসায় নিয়ে আসে। গত দুই মাসে তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বাড়ির মালিক ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে কিশোরীকে চাপ প্রয়োগ করলে সবাইকে ঘটনা বলে।
Copyright © 2024 নিউজ সময়.কম. All rights reserved.