অপহরণের ১২ দিন পর কিশোরগঞ্জের এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) নরসিংদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় নরসিংদী সদরের ভেলা নগরের একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ক'দিন তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অপহরণের মূলহোতা যাতায়াত পরিবহনের হেলপার মো. শামীমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মেয়েটির পরিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত ২৮ মে সন্ধ্যার দিকে কিশোরগঞ্জ সদরের সাদুল্লারচর এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয় সপ্তম শ্রেণিতে পড়া ওই ছাত্রী। পরের দিন তার বাবা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি জিডি করেন।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, ওই জিডির ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীটি কিছুটা সহজ-সরল। তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে প্রথম গাজীপুর সদরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে একটি বাড়িতে রেখে শামীম ধর্ষণ করে। এরপর নরসিংদীর ভেলানগরের একটি বাসায় নিয়ে রাখতে চাইলে বাসার মালিক কৌশলে মেয়েটির কাছ থেকে তার বাবার ফোন নম্বর নিয়ে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। আর মেয়েটির বাবা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ভেলানগরে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তবে ওই সময় অপহরণকারী শামীমকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, শামীম তার এক সহযোগীর সহায়তায় মেয়েটিকে প্রলোভনে ফেলে অপহরণ করে। শামীমকে খোঁজা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় শামীমকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শামীম নামে ছেলেটি স্কুলে যাওয়ার-আসার পথে প্রায়ই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করত। সামাজিক কারণে বিষয়টি নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করা হয়নি।