ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ গ্রামের হতদরিদ্র ওই তরুণী কিছুদিন আগে জীবিকার তাগিদে নোয়াপাড়ায় একটি কটন মিলে শ্রমিকের কাজ নেয়। মিলে আসা-যাওয়ার পথে পূর্ব মাধবপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এমরান মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান হয়। পরে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গতকাল রাত ৮টার দিকে দেখা করার কথা বলে প্রেমিকাকে ফোন করে নোয়াপাড়ায় নিয়ে যায় প্রেমিক এমরান মিয়া। নোয়াপাড়া থেকে সিএনজিযোগে প্রেমিকাকে মীরনগর গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কৌশলে প্রেমিকাকে হাড়িয়া হাওরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে এমরান তার অন্যান্য বন্ধুদের ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে হাড়িয়া হাওরে নিয়ে যায়। এরপর প্রেমিকাকে বন্ধুদের হাতে তুলে দেয় পাষন্ড প্রেমিক এমরান। সেখানে প্রেমিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হাওরে ফেলে পালিয়ে যায় এমরান ও তার বন্ধুরা।
এরপর ওই তরুণী হাওর থেকে কোনোরকমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আসলে মাধবপুর থানার টহল পুলিশের এসআই জাঙ্গাঙ্গীর আলমের নজরে পড়ে। তরুণীর কথা শুনে এসআই জাহাঙ্গীর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রেমিকসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মীরনগর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), আবু জাহেরের ছেলে শাহ আলম (৩৬), আঞ্জব আলীর ছেলে নুর রহমান (৩৭) এবং পূর্ব মাধবপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এমরান মিয়া (২৫)।