রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক নারী মেম্বারকে ধর্ষণ ঘটনায় চেয়ারম্যান-মেম্বারকে আটক করেছে এলাকাবাসী। ঘটনার পর এলাকাবাসী চেয়ারম্যান জানাত আলী ও মেম্বার আলাল উদ্দিনকে পুলিশে সোপর্দ করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের লাইব্রেরিতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে হঠাৎ উপজেলার ১নং বাজুবাঘা ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষের লাইব্রেরিতে দরজা-জানালা বন্ধ দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে তারা একজোট হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে রাখে। এরপর থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ওই পরিষদের লাইব্রেরি কক্ষ থেকে ভিকটিম নারী মেম্বার ও পুরুষ মেম্বার আলাল উদ্দিনকে হাতেনাতে ধরে থানায় নিয়ে আসে। আলাল উদ্দিন ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য।

ধর্ষণের শিকার নারী মেম্বার পুলিশকে জানিয়েছেন, দুপুরে অন্যদের সঙ্গে তিনিও বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নেন। এসময় মেম্বার আলাল উদ্দিন তাকে জানান, চেয়ারম্যানের সঙ্গে জরুরি কথা আছে। এই বলে লাইব্রেরির কক্ষে নিয়ে যান।

কথামতো তিনি ওই মেম্বারের সঙ্গে লাইব্রেরিতে প্রবেশ করলে দরজা-জানালা বন্ধ করে কুপ্রস্তাব দেন মেম্বার আলাউদ্দিন। একপর্যায়ে প্রকল্প পাইয়ে দেয়ার নামে তাকে ধর্ষণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী যুবক রহিদুল ইসলাম জানান, বেলা ২টায় পরিষদ চত্বরে তেমন একটা লোকজন ছিল না। মেম্বার আলাল উদ্দিনের এদিক-ওদিক তাকানো দেখে সন্দেহ হচ্ছিল। তাই পরিষদের পেছনে অবস্থান নিয়ে ছিলাম। এরপর যখন তারা দুজন একটি কক্ষে অবস্থান নেন তখন অন্য লোকদের ডাকাসহ থানা পুলিশে খবর দেয়।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় ওই লাইব্রেরির দরজায় তালাবদ্ধ ছিল এবং সেই তালার চাবি ছিল চেয়ারম্যানের কাছে। এ থেকে তারা চেয়ারম্যানকেও সন্দেহের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী ওই পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আয়েশা জানান, তিনি ওই সময় বারান্দা ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। লোকজনের চিৎকার দেখে লাইব্রেরির সামনে যান এবং দরজার ফাঁক দিয়ে দুজনকে ভেতরে দেখে তিনি চেয়ারম্যানের কাছে যান।

বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহামুদ জানান, তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে নারী মেম্বার নিজে বাদী হয়ে বিকেলে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলার পর ভিকটিমকে মেডিকেল টেস্টের জন্য রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

এখানে কমেন্ট করুন: