নরসিংদীতে দুর্গম চরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে নৌকা থেকে তুলে নিয়ে এক কাঠ ব্যবসায়িকে হত্যার উদ্দেশ্যে পায়ের রগ কেটে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলা মাধবদীর চরদিগলদী ইউনিয়নের অনন্তরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আমির বাদশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। পায়ের রগ কাটা ও শরীরে জখম ক্ষতে সেলাই নিয়ে আমির হোসেন বাদশা ৭ দিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানান তার স্বজনরা।
ভুক্তভোগির পরিবার জানায়, ঘটনার দিন ব্যবসায়ি কাজ শেষে নৌকা যুগে শ্বশুর বাড়ীতে যাওয়ার পথে পুর্বশত্রুতার জের ধরে একটি দল নৌকা থেকে তুলে নিয়ে যায় আমির হোসেন বাদশাকে।
পরে নির্জন স্থানে নিয়ে পায়ের রগ কেটে ও তাকে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীর খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় পুলিশ আমির হোসেন বাদশাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ঘটনায় গত ১১ জুন আমির বাদশার ভাই বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে ১৪জনের নাম উল্লেখ ও ৭/৮জন অজ্ঞাত আসামী করে মাধবদী থানায় একটি মামলা রুজু করেন।
এ মামলার আসামিরা হলো, অনন্তরামপুর গ্রামের মিয়া চান (৫৫) পিতামৃত- আলমাছ, রাজা মিয়া (৪৫) পিতামৃত- কালাই মিয়া, জয়নাল (৩৮) পিতা-খাকা মিয়া, হাবী (৩৫) পিতামৃত- সুলতান, ছিফর আলী (৩০) পিতামৃত-হোসেন মিয়া, আলী (৩০) পিতা- ছাত্তার, মোমেন (৩২) পিতা- এসু মিয়া, অলেক (৩৫) পিতামৃত- লতু মিয়া, মোশারফ (২৮) পিতা- মতি মিয়া, আক্তার হোসেন (২৩) পিতা-জহুর আলী, হানিফা (২৬) পিতা-রবিস, সেন্টু (২৮) পিতা-মোহর আলী, মোস্তফা (৩০) পিতা- মতি মিয়া, জালাল (৩৮) পিতামৃত- ইছব আলী।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক মো: এনায়েত কবির মামুন বলেন, গত ৭ জুন রাতে এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমির বাদশাকে মুমূর্ষ অবস্থায় স্পীড বোডে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আবু তাহের দেওয়ান দুর্গম চরের এ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, এব্যাপারে মাধবদী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার জোর চেষ্টা চলছে।