ঘুষ চেয়ে না পেয়ে এক দিনমজুরের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাফিজুর রহমান হাফিজের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠার পর তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

দিনমজুরের পা ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি শোনার পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ দুপুরেই এএসআই হাফিজকে ক্লোজড করার আদেশ জারি করেন।

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ঘুষ না পেয়ে রাজশাহীর দুর্গাপুরে সাইদুল ইসলাম (৫৫) নামে এক দিনমজুরের পা ভেঙে দেন এএসআই হাফিজুর রহমান হাফিজ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় হোজা অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাইদুলকে আহতাবস্থায় রাতে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তার পায়ে প্লাস্টার করা হয়। তিনি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত সাইদুল উপজেলার চৌবাড়িয়া এলাকার অধিবাসী।

তবে সাইদুলের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাইদুল ইসলাম  জানান, পুত্রবধূর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার ছেলে আসাদুল ইসলামকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করেন এএসআই হাফিজ। পরে তাকে থানায় না নিয়ে হোজা অনন্তকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ছেলেকে ছাড়াতে সেখানেই যান তিনি।

এ সময় তার কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এএসআই হাফিজ। টাকা দিতে না চাওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন তিনি। বাধ্য হয়ে নিজের কাছে থাকা ৯০০ টাকা দিতে চান সাইদুল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তার বাম পা ভেঙে দেন এএসআই হাফিজ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনার পর ওই দিন গভীর রাতেই আসাদুলকে ছেড়ে দেন এএসআই হাফিজ।

এখানে কমেন্ট করুন: