লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতিকে সিগারেট ধরানোর জন্য দিয়াশলাই না দেয়াকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নের দুই ইউপি সদস্য ও এক গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে আহত করেছেন তিনি ও তার ভাই!

বুধবার দুপুরে পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের শিমুলতলা ও হাতীবান্ধা হাসপাতালে পৃথক এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি বাঁধন পাটোয়ারী ও তার ভাই সাগরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই উপজেলার পারুলিয়া বাজারে বাঁধন পাটোয়ারী সিগারেট ধরানোর জন্য পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নুর মোহাম্মদের নাতি আরাফাতের কাছে দিয়াশলাই চান। এ সময় আরাফাত দিয়াশলাই না দেয়ায় তাকে মারধর করেন বাঁধন পাটোয়ারী। পরে গ্রাম পুলিশ নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই পাটিকাপাড়া ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বাজারে এসে বাঁধন পাটোয়ারীকে গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনার জের ধরে বাঁধন পাটোয়ারী ও তার ভাই সাগর পাটোয়ারী বুধবার সকালে পারুলিয়া শিমুলতলা এলাকায় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান ও গ্রাম পুলিশ নুর মোহাম্মদের ওপর হামলা চালান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও হামলা চালান বাঁধন পাটোয়ারী ও তার ভাই। এ সময় অপর ইউপি সদস্য আবুল কালাম, লিচু মিয়াসহ তিনজন আহত হয়। আহত গ্রাম পুলিশ নুর মোহাম্মদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পরে খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি বাঁধন পাটোয়ারী, তার ভাই সাগর পাটোয়ারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেন।

লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) তাপস সরকার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।