নরসিংদীর পাঁচদোনায় পরিবহন থেকে ট্রাফিক পুলিশ এর টিআই পরিচয় দিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে শহীদ নামের এক দালাল।
শুধু তাই নয় এই দালাল দীর্ঘদিন যাবৎ পাঁচদোনার মোড়ে বিভিন্ন ট্রাক, বাস, লড়ি, বালুবাহী গাড়ী থেকে প্রতিনিয়ন তুলছে চাদা। যেহেতু পাঁচদোনা মোড়ে গোলচত্বরে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছে ট্রাফিক বিভাগ। তাই যেন এই সিসি ক্যামেরাতে ধরা না পারে তার জন্য ঝংকার হলের সামনে টোকেন দিয়ে মাসিক চাদা উঠায় এই নামে ব্যক্তিটি।
এক দুপুর চাদার শেষে ট্রাফিক পুলিশ এর বক্সে এসে টাকাগুলো ভাগভাটোয়ারা করে বলে অভিযোগ করেন চালকরা।
এদিকে পরিবহন এর এক চালক মোঃ কাশেম মিয়া বলেন, টিআই এর সরকারী গাড়ী নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় তাকে। চাদা না দিলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করারও অভিযোগ করেছে চালকরা। সে নাকি নিজেও একজন টিআই।
নাম মাত্র টোকেন ছাপিয়ে চাঁদা তুলে ভাগবাটোয়ারা করে নেন এক ট্রাফিক পুলিশ এর অসাধু কর্মকর্তা। জানা গেছে, ঘোড়াশাল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ডাঙার রাস্তায় চাদাঁবাজী করছে এই ভুয়া টিআই শহীদ। ঘোড়াশাল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক রোডে, পাঁচদোনা বাসষ্ট্যান্ডে রমরমা চাদাঁবাজী চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশের একটি মহল মাসোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ্য কাজ পরিচালনা করে আসছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, এই শহীদকে আমার টিআইর স্যার চাদা উঠানোর জন্য এখানে রেখেছে। প্রতি মাসিক চাদা উঠিয়ে পুলিশ বক্সে বসে স্যারকে দিয়ে দেয় এই লোক। যেহেতু আমাদের একটি ছোট পদ। তাই কোন প্রতিবাদও করতে পারি না।
অনেক অটোভ্যান,রিক্সা,নছিমন চালক জানান, পাঁচদোনা মহাসড়কে অসাধু টিআই এর এই শহীদ চাদাবাজী করে আসছে। কেউ বাধাদিলে টিআই এর প্রভাব দেখিয়ে মারপিট,হুমকি ধামকি দেওয়া হয় চালকদের। যার ফলে তারা নিরবে চাঁদা দিয়ে গাড়ী চালাচ্ছেন। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী এ চাদাবাজী বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সিএনজি চালক মোঃ শাহিন মিয়া বলেন, এতদিন কোন সাংবাদিক এগুলো নিয়ে কথা বলেনি,এর সাথে অসাধু এক টিআই জড়িত আছে। যেহেতু এই চাদাবাজীর সাথে টিআই জড়িত তাদের কে আপনারা কিছুই করতে পারবে না।
এই বিষয়ে ভুয়া টিআই শহীদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সংবাদ কর্মীকে ম্যানেজ করার একটি কৌশল ব্যবহার করেন। তার মিষ্টি কথায় একটি সহানুশীল দেখালে বেরিয়ে তার গোপন তথ্য। তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রতিটি গাড়ী থেকে চাদা তুলে ৯০% দিতে হয় টিআইকে আর ১০% নেই আমি। তাই এই বিষয়ে কোন কথা বলতে তিনি রাজী হননি।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশ এর দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তা গোলাম মাওলাকে বারবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।