টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাথা ব্যাথার চিকিৎসা ও জ্বিন ছাড়াতে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী।গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।এ ঘটনায় আজ সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে মেয়ের মা বাদী হয়ে মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে আসামি করে সখীপুর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার
মামলা করেন।ধর্ষণের চেষ্টাকারী ওই মুয়াজ্জিনের নাম রুহুল আমিন (২৫)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায়। তবে তার গ্রামের ঠিকানা ওই মামলায় নেই।জানা যায়, মাথা ব্যাথা রোগ সারাতে ঝাড়ফুঁক দিতে মেয়েটির বাড়িতে আসে স্থানীয় মসজিদের
মুয়াজ্জিন রুহুল আমিন। দুই দিন বেলা ১১টার দিকে মেয়েটির বাড়িতে এসে সবার সামনেই মাথায় ঝাড়-ফুক দেয় ওই মুয়াজ্জিন। তৃতীয় দিন গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাড়িতে এসে মেয়ের মাকে বলে ওকে জ্বিন ধরেছে। জ্বিন ছাড়াতে বাটিতে সরিষার তেল নিয়ে ওই
মুয়াজ্জিন মেয়েকে একা একটা ঘরে নিয়ে যায়। তার অনুমতি ছাড়া ওই ঘরে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ করে দেয়। এক পর্যায়ে মেয়ের চোখে সরিষার তেল লাগিয়ে কাপড়-চোপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। পরে ঘরের বাইরে থাকা লোকজন চিৎকার
শুনে ঘরে ঢুকে মুয়াজ্জিনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে এলাকার মাতব্বররা সালিসি বৈঠক করে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে এলাকা ছাড়া করেন।মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম বলেন, মুয়াজ্জিনকে চাকরি দেওয়ার সময় তার ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেওয়া হয়নি। ঠিকানা ছাড়া চাকরি দেওয়া এটা আমাদের বড় একটা ভুল হয়েছে।ঘটনার চারদিন পর মামলা কেন জানতে চাইলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, এলাকার কিছু মাতব্বর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মেয়ের পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে দেয়নি। আসামি মুয়াজ্জিনকে ধরতে অভিযান চলছে।