টাঙ্গাইল জেলার সখীপুরে বিয়ের দাবিতে দুইদিন যাবৎ প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী (প্রেমিকা)। তরুণী বাড়িতে ওঠার পর প্রেমিক, প্রেমিকের মাসহ ভাইবোন সবাই বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। গত সোমবার দুপুরে ওই তরুণী ওই বাড়িতে উঠে। প্রেমিক জসিম উদ্দিন উপজেলার পাথারপুর গ্রামে প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে। এরআগে গত সোমবার প্রেমিক জসিম উদ্দিন ওই তরুণীর হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সখীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। থানার জিডি ও তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জসীম উদ্দিন দুই বছর আগে চাকরি নিয়ে মালদ্বীপ যায়। ওই দেশ থেকে রাজধানী ঢাকার এক তরুণীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ২৫ মে জসীম উদ্দিন দেশে ফিরেই ওই তরুণীর ঢাকার ভাড়া বাসায় উঠে। ঈদের আগের দিন সখীপুরের বাড়িতে আসার পর জসীম আর ঢাকায় ফেরত না গিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। গত সোমবার জসীম সখীপুর থানায় জিডি করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই তরুণী জসীমের বাড়িতে উঠে। তরুণী (মৌসুমা নিশি) বলেন, জসিম আগে একটি বিয়ে করে বউকে তালাক দিয়েছে। অন্যদিকে আমিও আমার আগের স্বামীর ঘর ছাড়া। এ বিষয়টি আমাদের দুইজনেরই জানা (আন্ডারস্ট্যান্ডিং) আছে। মালদ্বীপ থেকে সে আমাকে ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিতে বলে।
দেশে এসেই সে আমার ভাড়া বাসায় গিয়ে উঠে। ঈদের পর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ধুমধাম করে কাবিন ও বিয়ে হবে বলে আমাকে জানায়। আমরা ধমীয় গ্রন্থ ছুয়ে বিয়ে করেছি। হঠাৎ ঈদের আগের দিন জসিম আমাকে কোন কিছু না বলেই পালিয়ে আসে ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি বাধ্য হয়েই আমার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বামীর বাড়িতে উঠেছি। গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জসিম ও বাড়ির লোকজন পালিয়ে যাওয়ার কারণে এ ঘটনার মীমাংশা শিগগিরই হচ্ছে না। জসিমকে পেলেই এ বিষয়ে সমাধান করা হবে। জসীম উদ্দিন জিডিতে উল্লেখ করেন, ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে বাড়িতে উঠার মুঠোফোনে হুমকি দেয় ও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন থানায় জসিম উদ্দিনের জিডি করার কথা ও জসিমদের বাড়িতে মেয়েটি উঠার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটি মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।